দেশে বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫.১৬ বিলিয়ন  ডলার বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুকপাত্র মেজবাউল হক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।  আর ডলার সরবরাহে সংকট নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সরকারে নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে দেশের অথর্নীতি ইতিবাচক ধারায় ফিরছে।  এসময় তিনি আরও জানান ডলারের চাহিদায় ও সরবরাহে একটা পরিবর্তন এসেছে। গতবছর চাহিদা বেশি ছিল। নানা উদ্যোগে চাহিদা কমেছে সরবরাহ বেড়েছে।

এদিন থেকেই ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। তারা আশা করছেন, চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে ডলারের দাম আরো কমে আসবে।

ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে মেজবাউল হক বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার দাম বাজারের চাহিদা ও যোগানের ওপর নির্ভর করে। গত কয়েক মাসে ডলারের চাহিদা নজরদারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

‘পণ্য আমদানিতে কেউ মূল্য নিয়ে কারসাজি করে কিনা, কিংবা বিলাস পণ্য আসছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

মুখপাত্র বলেন, এতে করে কারেন্ট অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত আছে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে ঘাটতি থাকলেও তা কমে আসবে।

বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়, যা আগে ছিলো ১১১ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ডলারের জোগান বাড়াতে রফতানির মূল্য প্রত্যাশিত পরিমাণ ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ।

দেশের ডলারের সরবরাহ নেই, উপরন্তু ব্যাংকগুলোর কাছে চাহিদার তুলনায় বাড়তি ডলার কেনা আছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, দেশে ডলারের সরবরাহ সংকট নেই। ব্যাংকগুলোর চাহিদার তুলনায় বাড়তি ডলার কেনা আছে। এখন প্রায় ৩৯টি ব্যাংকে কেনা আছে বাড়তি ডলার।

তবে কয়েকটি ব্যাংক ঋণপত্র খুলতে গিয়ে বাড়তি দামে ডলার জোগাড় করছে তা বাজারের ‘ডলার সংকটের চিত্র নয়’ বলে মন্তব্য করেন নির্বাহী পরিচালক।

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো স্থিতিশীল রয়েছে মন্তব্য করে মুখপাত্র মেজবাউল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক – ফেড নীতি সুদ হার কমালে দেশে ডলারের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি আট শতাংশে নামিয়ে আনা বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য বলেও জানান তিনি।